বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রাম বন্দরে চীনা জাহাজের ৭ নাবিক করোনায় আক্রান্ত

চট্টগ্রাম বন্দরে চীনা জাহাজের ৭ নাবিক করোনায় আক্রান্ত

স্বদেশ ডেস্ক;

চীন থেকে সার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা একটি বিদেশি জাহাজের ৭ নাবিকের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে জাহাজটি থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রাখার পাশাপাশি জাহাজের সব নাবিককে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। গত রোববার রাতে তাদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেয়েছে বন্দর স্বাস্থ্য বিভাগ। জাহাজটির শিপিং এজেন্টের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা নাবিকদের কোয়ারেন্টিনে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, গত ১২ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসে বাহামাস পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ এমভি সেরেন জুনিপার চীন থেকে ডিএপি (ডায়ামোনিয়াম ফসফেট) সারের চালান নিয়ে। এরপর যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পণ্য খালাস শুরু করে।

গত ২১ আগস্ট জাহাজটির ক্যাপ্টেন স্থানীয় শিপিং এজেন্টের কাছে পাঠানো এক মেইল বার্তার মাধ্যমে জাহাজের ৭ জন নাবিকের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার কথা জানায়।

বিষয়টি শিপিং এজেন্ট বন্দর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে বন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগ পণ্য খালাস বন্ধ রাখা ও নাবিকদের সম্পূর্ণ কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশনা দেয়। এরপর থেকে ওই জাহাজের পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে যায়।

চট্টগ্রাম বন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ জাবেদ জানান, শনিবার বন্দরের নিজস্ব স্বাস্থ্যকর্মীরা বহির্নোঙরে অবস্থানরত এমভি সেরেন জুনিপার জাহাজে গিয়ে সেখানে থাকা ২১ জন নাবিকের নমুনা সংগ্রহ করে। এরপর নমুনাগুলো কোভিড পরীক্ষার জন্য আরটিপিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়।

রোববার রাতে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আমাদের হাতে আসে। এতে দেখা যায়, ৭ জন নাবিকের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ এসেছে। বাকি ১৪ জনের ফল নেগেটিভ আসে। এ অবস্থায় জাহাজটির সব নাবিককে কোয়ারেন্টিনে রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামে জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মাল্টিপোর্ট শিপিং লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানান, চীন থেকে ৪৬ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন ডিএপি সারের চালান নিয়ে সিঙ্গাপুর বন্দর হয়ে চট্টগ্রাম আসে বাহামাস পতাকাবাহী জাহাজ এমভি সেরেন জুনিপার। চালানের একটি অংশ চট্টগ্রামে এবং অপর অংশ মোংলায় খালাস হওয়ার কথা। চট্টগ্রামের অংশ ইতিমধ্যে খালাস হয়ে গেছে।

শিপিং এজেন্ট মাল্টিপোর্ট শিপিং লিমিটেড এর পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, জাহাজটিতে আসা পণ্যের যে অংশ চট্টগ্রামে খালাস হওয়ার কথা ছিল তা খালাস হয়ে গেছে। যা বাকি রয়েছে সেগুলো মোংলা বন্দরে খালাস হওয়ার কথা। বন্দরের নির্দেশনা অনুসারে নাবিকদের কোয়ারেন্টিন শেষ হলে তা মোংলায় খালাস করা হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877